বিশ্বাস ও ভালোবাসা
- অজয় কুমার দে - মনভাষী ০৯-০৫-২০২৪

সময় পার করতে করতে শৈশব পর করে যৌবন নিয়ে মেতে উঠেই দেখি আমি নিজেকেই এতদিন ঠকিয়ে এসেছি তাই এখন ...
নিঃশব্দ রাত--
রাত্রির সাথে আমি একলা--
হয়তো আকাশে আছে দু একটা নীরব তারা, মেঘের আড়ালে লুকিয়ে--
হয়তো এখনি আসবে তুমুল বৃষ্টি
কিন্তু আমি ভিজে যাবোনা--
আমি তো খোলা আকাশের নীচে নেই --
আমি আছি চতুর্দিক দিয়ে ঘেরা এক নিশ্চিন্ত ঘরের আশ্রয়ের অন্তরালে---
তাই বৃষ্টি আমায় ভিজিয়ে দেবেনা আমার নিশ্চিন্ততার বেড়া ভেঙে--।
কিন্তু আমার ভালোবাসা আর বিশ্বাসের বেড়া টা বার বার কেন ভেঙে পরে যায় বিনা ঝড়ে--
তুফান তো ছিলনা সেই বিশ্বাসে ভরা ভালোবাসার হাতটা ধরার সময়--
তবুও ভেঙে চুরমার হয়ে যায় সেই বিশ্বাসের দরজাটা--
মনে হয় এটা ভালোবাসা নয়-- এ বিশ্বাসের আড়ালে লুকিয়ে আছে অনেক ছল চাতুর্যের ছলা কলা--
যেদিন বুঝি আমার বিশ্বাসটা আমার ভালোবাসাটা নিয়ে কারা যেন আমায় ছলনায় ভুলিয়ে রাখতে চাইছে-- সেদিন আমি আমার বাড়িয়ে দেওয়া হাতটা সরিয়ে আনি--
কষ্ট? সে তো আছেই -- জীবন যতক্ষণ আছে কষ্ট, বেদনা তো তার নিত্য সঙ্গী --
না আমি কোনো প্রতিবাদ করিনা --
শুধু নিঃশব্দে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসি সেই ছলনার বেড়াজাল থেকে--
এটাই আমি -- যতটা ভালোবাসতে পারি, নিঃশর্তে যেখানে অমলিন সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি--
সেই সম্পর্কের প্রাচীরে যখন ফাটল ধরতে দেখি তখন তা ভেঙে দিয়ে আমি বেড়িয়ে আসি--
আর পিছন ফিরে তাকাইনা--
ভুল কি ঠিক জানিনা তবে এটাই আমি--।
মেঘ ডাকার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি -- শুনছি বাইরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে --
তবু আমি আমার ভালোবাসার বৃষ্টি ঝরা থেকে নিজেকে বঞ্চিত রেখে জানলা টা বন্ধই রেখেছি --।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।